নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার শেষ প্রান্তে গোপালপুর ইউনিয়ন। দক্ষিণ প্রান্তে বড়াইগ্রাম,মাঝগ্রাম, উত্তর প্রান্তে জোনাইল, চান্দাই, দক্ষিন প্রান্তে পাবনা জেলার মুলাডুলি পশ্চিম প্রান্তে নগর এবং লালপুর উপজেলার কদিমচিলান , দোয়ারিয়া ইউনিয়ন। মোট জনসংখা ৩২,১২৫জন প্রায়, ইউনিয়নের প্রাণকেন্দ্র দিয়ে বিশ্বরোড, পাবনা,কুষ্টিয়া,রোড চলে গেছে। ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের পিছনে অবস্থিত কমলা নদীর যে নদী পাবনা জেলা হয়ে পদ্মা নদীর সাথে মিশেছে। উপজেলার বৃহত্তর নদী খলিশাডাঙ্গা প্রায় ১৬কিঃ মিঃ,পচা বড়াল প্রায় ৮কিঃমিঃ মরা বড়াল প্রায় ১৯কিঃমিঃ এলাকায় বেষ্টিত। সাতইল এবং চিনিডাঙ্গা বিলের সাথে মিশেছে গোপালপুর ইউনিয়নে অবস্থিত কমলা নদী।ইউনিয়নে নদী খাল বিল পুকুরে বর্ষার শেষ সময় প্রচুর মৎস্য পাওয়া যায়, প্রায় ৩ শতাধিক মৎস্যজীবি পরিবার উক্ত মৎস্য আহরণ করিয়া এলাকার চাহিদা পুরণ শেষে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রয় করিয়া জিবিকা নির্বাহ করিয়া থাকে। মরা নদী খাল বিল সহ অনেক সরকারী জলাশয় পড়ে আছে, উদ্দ্যোগ গ্রহন করিলে মৎস্য চাষে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটতে পারে। গোপালপুর ইউনিয়ন কৃষি প্রধান এলাকা, এখানে প্রধান ফসল রোপা আমন ও বোরো ধান, শীতের সময় গম, খেসাড়ী,মশুর, মুগ কালাই, কালীজিরা,ধনিয়া,পিয়াজ, রশুন এবং প্রচুর পরিমান খেজুর গুড় সহ বিভিন্ন প্রকার শাক শবজী উৎপাদন হয় এবং এলাকার চাহিদা শেষে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রয় করিয়া থাকে। গোপালপুর ইউনিয়নের সবচেয়ে বেশী উৎপাদিত ফসল হলো শাক সব্জি যেমন: শিম,ঢেড়স,লালশাক,মুলা এলাকায় ইক্ষু উৎপাদনে দির্ঘদিন যাবৎ অবদান রাখিয়া আসিতেছে। ইতিহাসের সাক্ষ্য হিসাবে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের বিশেষ অবদানকারী মুক্তিযোদ্ধা বার বার নির্বাচিত বর্তমান চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক ।উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে রাজাপুর ডিগ্রি কলেজ, রাজাপুর উচ্চ বিদ্যালয়, গোপালপুর উচ্চ বিদ্যালয়, কচুয়া উচ্চ বিদ্যালয়। ৬ নং গোপালপুর ইউনিয়নটি নাটোর জেলার শেষ প্রান্তে অবস্থিত। গোপালপুর ইউ,পি ভবন পার হলেই পাবনা জেলার সীমানা শুরু মাঝে শুধু কমলা নদী নাটোর এবং পাবনা জেলা বিভক্ত করে রেখেছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস